শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন

পত্নীতলায় রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর আহসান হাবিব এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৪৯ বার পঠিত হয়েছে

পত্নীতলায় রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর আহসান হাবিব এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ

জামিল আহম্মেদ , পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি ( টিআইডিপি৪) এর আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইউআরসি/ টিআরসিতে ৩ দিন ব্যাপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য শিক্ষাক্রম বিস্তরণ প্রশিক্ষণ সারা দেশের মতো নওগাঁর পত্নীতলাতেও শুরু হয়। এই প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষকদের ( শিক্ষক ) জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট থেকে মোটা অংকের টাকা বাঁচিয়ে নিন্মমানের প্রশিক্ষণ উপকরণ প্রদান ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে পিটিআই এর সুপারেন্ডেন্ট খন্দকার মো: ইকবাল হোসেন এর নাম ভাঙিয়ে চতুর্থ ব্যাচের প্রশিক্ষণ বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে পত্নীতলা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মো: আহসান হাবির এর বিরুদ্ধে।

আর ডি পি পি এর বাজেট থেকে জানা যায়, প্রতি প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য তথ্যপত্র, একটি কলম, একটি প্যাড, নেম কার্ড এর জন্য বারাদ্দ ৫০০ টাকা ও প্রতি প্রশিক্ষণার্থী একটি করে ব্যাগ বাবদ ৫০০ টাকা বরাদ্দ। প্রশিক্ষণ হবে মোট ২০ টি। যেখানে প্রশিক্ষণার্থী থাকবে প্রতি ব্যাচে ৩০ জন করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রেস থেকে ছাপানো একটি তথ্যপত্র যার মূল সর্বোচ্চ ১০০-১২০ টাকা, একটি ৫/১০ টাকা মূল্যের কলম, একটি নেম কার্ড খরচ ১০ টাকা, একটি ২০/৩০ টাকা মূল্যের প্যাড এবং প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য একটি করে ব্যাগ যার বাজার মূল্য আনুমানিক ( সর্বোচ্চ ) ৩০০ টাকা। যা সর্বমোট গিয়ে দাঁড়াই ৪৫৫- ৪৬০ টাকা। কিন্তু এসব বাবদ বরাদ্দ আছে ১০০০ ( এক হাজার ) টাকা। তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রতি প্রশিক্ষণার্থীর বাজেট থেকে গায়েব করা হচ্ছে ৫৪০-৫৪৫ টাকা। ২০ ব্যাচে মোট প্রশিক্ষণার্থী থাকবে স্বাভাবিক ভাবেই ৬০০ জন। যাদের ( প্রশিক্ষণার্থী ) বাজেট থেকে গায়েব করা হবে প্রায় সারে ৫ লক্ষ টাকা। ইতেমধ্যে ৩ টি ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে।

এবিষয়ে পত্নীতলা উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মোখলেছুর রহমান বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী আামরা শিক্ষকদের চিঠি দিয়ে প্রশিক্ষণ সেন্টারে উপস্থিত করাই। আজ প্রশিক্ষক হিসাবে ছিলাম আমি ও আমার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো: জয়নাল আবেদীন। সময় মতো প্রশিক্ষণ সেন্টারে পৌঁছানে ইন্সট্রাক্টর মো: আহসান হাবিব আমাদের বাধা প্রদান করেন। আমরা কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা যেকোন একজন প্রশিক্ষক দেন। তার এই দাবি নীতিমালা বহিভূক্ত হবার কারণে আমরা তার প্রস্তাবে রাজি হইনা। তখন তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে চতুর্থ ব্যাচের প্রশিক্ষ বন্ধ ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের নীতিমালাতে স্পষ্ট করে বলা আছে একজন প্রশিক্ষক পর পর দুটি প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসাবে থাকতে পারবেনা। কিন্তু তিনি কোন ক্ষমতা বলে চতুর্থ ব্যাচের প্রশিক্ষণ বন্ধ করলেন তা আমার জানা নেই।

এবিষয়ে অভিযুক্ত পত্নীতলা উপজেলার রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মো: আহসান হাবিব বলেন, তথ্য পত্র বউয়ে মোট ১৩৪ টি পৃষ্টা আছে। প্রতিটি পৃষ্টার ফটোকপি করতে প্রয়োজন হয় ৩ টাকা। তাছাড়া প্যাড,কলম, নেম কার্ড বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ১০০ টাকা ও ব্যাগ প্রতি খরচ হয়েছে ৫০০ টাকা। টাকা বাঁচানো তো দূরের কথা এই বাজেট এর টাকা দিয়ে কোন রকম জিনিসপত্র ক্রয় করা হয়েছে।

তথ্যপত্র বইটি প্রতিবেদক যাচাই বাছাই করে প্রশ্ন করলেন যে, এই বইটি ফটোপপি করা হয়নি বরং এই তথ্যপত্র বইটি প্রেস থেকে প্রিন্ট করা হয়েছে। এমন প্রশ্নের উত্তরে ইন্সট্রাক্টর আহসান হাবিব বলেন, এটি আমি করিনি। দায়িত্ব দিয়েছিলাম পাশ্ববর্তী মান্দা উপজেলার ইন্সট্রাক্টর কায়ছার হাবিব এর উপর। তাৎক্ষণিক ভাবে তিনি কায়ছার হাবিব এর সাথে মুটোফোনে কথা বলে জানান, তথ্যপত্র বইটি প্রেস থেকেই প্রিন্ট করা হয়েছে। প্রেস থেকে প্রিন্ট করা হলে প্রতি বই এ খরচা পড়বে ১০০-১২০ টাকা। তাহলে বাঁকি টাকা কোথায়? এমন প্রশ্ন তিনি ( আহসান হাবিব ) বলেন, ভাই এসব ছোট খাটো বিষয়ে আমাকে ধরিয়েন না। আপনারা হয়তো জানেনা উপজেলা একাউন্ট ( হিসাব রক্ষণ ) অফিসে প্রতিটি ফাইলেন জন্য ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এবং তারা এবার দাবি করেছে তাদের কে ৬ টি ব্যাগ দিতে হবে। তাহলে আপনারাই বলেন এসব আমি কোথায় পাবো।

তবে ইন্সট্রাক্টর আহসান হাবিব এর কথা অস্বিকার করে উপজেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মো: মোস্তফা জামান বলেন, ইন্সট্রাক্টর আহসান হাবিব যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

জামিল আহম্মেদ
পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
মোবাইল নাম্বার: ০১৫৮০-৭৬১৮৯৪.

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর