১৫ আগষ্ট স্মরণে বেনাপোল পৌর ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মোঃ জমির হোসেন,স্টাফ রিপোর্টারঃ-
জাতীয় শোক দিবস ১৫আগষ্ট স্মরণে বেনাপোল পৌর ২নং(নামাজগ্রাম-দূর্গাপুর) ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে এক দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার(৩০ আগষ্ট) সন্ধ্যায় বেনাপোল পৌর ২নং ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা ও কে,বি গ্রুপের চেয়ারম্যান- মোঃ কামরুজ্জামান বাবলু’র বাস ভবন প্রাঙ্গণে এই শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মোঃ জয়নাল আবেদীন(সভাপতি,২নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগ,বেনাপোল পৌর শাখা)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-এনামুল হক মুকুল(ভারপ্রাপ্ত সভাপতি,বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ)। সন্মানিত অতিথি’র চেয়ার অলংকৃত করেন-মোঃ নাসির উদ্দিন(মেয়র,বেনাপোল পৌরসভা ও সাধারণ সম্পাদক,বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ)।
অনুষ্ঠানে প্রধানবক্তা ছিলেন-মোঃ সোহরাব হোসেন(সাধারণ সম্পাদক,শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ)।
বিশেষ অতিথিগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-আবুল কাশেম মোড়ল(সহঃসভাপতি,২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ) মোঃ অহিদুজ্জামান(সভাপতি,শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ),মোঃ আলী আকবর(প্রচার সম্পাদক,বেনাপোল পৌর আ.লীগ),মোঃ মোস্তাক হোসেন স্বপন(আহবায়ক,বেনাপোল পৌর নাগরিক কমিটি)।
বঙ্গবন্ধু ও তার শহীদ পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান অতিথি এনামুল হক মুকুল বলেন,
“বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাই নন, স্বাধীনতা লাভের পর ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি রচনা করে দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের জন্য স্বীকৃতি আদায়ে তার বিজ্ঞ রাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতি তাকে বিশ্বের দরবারে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতার মর্যাদায় আসীন করেছে,বঙ্গবন্ধু’র আদর্শ ধারণ করে সরকারের চলমান উন্নয়ন, কূটনৈতিক সাফল্যের ধারা অব্যাহত ও দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি বজায় রাখতে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া আওয়ামী যুবকদেরকে সোচ্ছার হওয়ার আহবান জানান”।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা সোহরাব হোসেন জাতীর শহীদদের প্রতি সশ্রদ্ধ ছালাম জানিয়ে স্মরণ সভায় বলেন, “ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধরে বঙ্গবন্ধু’র জ্যেষ্ঠ কণ্যা আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃড়তার সাথে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী’র হাতকে শক্তিশালী করতে যুবলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী অতিতের মত আগামীতেও স্বতস্ফুর্তভাবে কাজ করে যাবে”।
আলোচনার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ও দেশের অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।