সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন

ঢাকার আশুলিয়ায় ভুয়াকাজীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। আশুলিয়ায় নামধারী মাওলানা

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৩
  • ৫৭ বার পঠিত হয়েছে

ঢাকার আশুলিয়ায় ভুয়াকাজীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।

আশুলিয়ায় নামধারী মাওলানা মোঃ সৈয়ব নামের লাইসেন্স বিহীন এক ভূয়াকাজীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধীক অভিযোগ ও সাধারণ ডায়রী খবর পাওয়া গেছে। লাইসেন্স প্রাপ্ত আউয়াল কাজীর সহায়ক পরিচয়ে সাইনবোড ঝুলিয়ে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারি সংস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে, পেশী শক্তির বলে ও স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় থেকে চালিয়ে যাচ্ছে তার সকল অপকর্ম।
এদিকে ঘটনার সূত্রপাত ডি.ই.পি.জেড রোড এলাকার গনকবাড়ী হাসেম প্লাজার (২য় তলায়), একটি চটকধারী কাজী অফিসের সামনে (কাজী জান্নাতুল ফেদৌস সুরাইয়া-২৮) নামে এক নারীকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে আহাজারি করতে দেখা যায়। ঐ নারী সাংবাদিকদের জানায়, তার বিয়ের সময় স্বাক্ষীগণের সামনে ১০ (দশ) লাখ টাকা দেনমহর ধার্য করে বিয়ে রেজিঃ করা হয়েছিল। কিন্তু, গত ৮ই অগাস্ট ২০২৩ তারিখে নকল তুলতে আসলে ঐ কাজি দেনমহরের স্থানে মাত্র ৩ (তিন) লাখ টাকা উল্লেখ্য করে একটি নকল কপি হাতে ধরিয়ে দেয়। এ সময় আমি তার সংগে রাগা-রাগির এক পর্যায়ে কাজী সাহেব দেনমহর ঠিক করে দিবে বলে তিন দিন পর আসতে বলে। তিন দিন পর আজ সে ঠিক করে না দিয়ে তার সাথে ২/৩ দিন সময় কাটাতে কূ-প্রস্তাব দেয়। তার কথায় রাজি হলে সব ঠিক করে দিবে বলে জানায়। ঐ নারী আরো জানায়, এই বিষয়ে কাউকে না জানাতে হুমকীয় প্রদান করেছে। জানালেও লাভ হবে না। কারণ, বড় বড় রজনৈতিক নেতারা তার নিজের লোক এবং থানা পুলিশ কোন কিছু করতে পারবে না বলে জানায়। এত টাকা (দশ লাখ) দেমহর কেন এইমর্মে জানতে চাইলে (কাজী জান্নাতুল ফেদৌস সুরাইয়া) বলেন, আমার স্বামী এর আগে আমাকে ডিভোর্স দিয়ে অন্য মেয়ে নিয়ে চলে গিয়েছিল। আমার পরিবার তাঁর সঙ্গে রাখবেন না বলে আমার বিয়ের সময় তাঁকে দেওয়া পাঁচ লাখ টাকা ফিরত চাইলে আমার স্বামীসহ তার পরিবার আমাদের বাড়িতে এসে ভুল শিকার করে ক্ষমা চায়, পরে আমার বড় ভাই মেনে নিয়ে দশ লাখ টাকা দেনমহরে দাবি করলে আমার স্বামী সম্মতি প্রকাশ করে এবং নতুন ভাবে বিয়ে হয়। তখন, স্বাক্ষীগণের সামনে উক্ত দেনমহর ধার্য্য করে এই কাজী বিবাহর কাজ সম্পন্ন করেন। আমার স্বামী আবারও আর একজন নারীকে নিয়ে ভেগে গেছে তাই মামলা করবো বলে কাবিনের কাগজ তুলতে এসেছিলাম। এসময় ঐ নামধারী কাজী মাওলানা মোঃ সৈয়ব সাংবাদিকদের সম্মুখে ভুক্তভোগীকে অশ্লীস ভাষায় গালি-গালাজ করে এবং উপস্থিত সবার সামনে গায়ে হাত তুলতে চেষ্টা করে, আরো বলতে থাকে সাংবাদিকদের সে দেখে নেবে। সেই নামধারী মাওলানা কাজী মোঃ সৈয়ব এর কোন লাইসেন্স আছে কি না জানতে চাইলে ঐ কাজী কোন উত্তর না দিয়ে আউয়াল কাজীর সহকারী বলে দাবি করে এবং সাংবাদিকদের সাথে আলাদা ভাবে কথা বলবেন বলে জানায়। তথ্য অনুসন্ধানে গত ১৬ আগষ্ট ঐ বিয়ের স্বাক্ষী গণের সাথে যোগা যোগ করলে তারা দশ লাখ টাকা কাবিনের কথা স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে আউয়াল কাজীকে মুঠোফোনে গত ২২ আগষ্ট জানতে চাইলে তিনি বলেন, সৈয়ব কাজী তার সহকারী নয়। এমন কি কোন ভলিউম বই তাকে দেওয়া হয় নাই। তিনি আরো বলেন, মাওলানা সৈয়ব কাজী, পিতা-আবদুল্লাহ, সাং- ভাদাইল (সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন) সে একজন চোর ও জালিয়াতী প্রকৃতির অসৎ চরিত্রের লোক। আমার কাগজ পত্র নকল করে এবং সীল স্বাক্ষর নকল করে দীর্ঘ বছর যাবৎ প্রতারনার কাজী সেজে অনেক বর-কণ্যের সাথে প্রতারনা করে আসছে এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভূয়া রেজিঃ বলিউম বই এ বাল্য-বিবাহ হরদম চালিয়ে যাচ্ছে । এ বিষয়ে বাদী হয়ে আশুলিযা থানায় এর আগে অভিযোগ করেছি।তার বিরুদ্ধে থানায় একাধীক সাধারন ডায়রিও রয়েছে।
ধামসোনা ইউনিয়নের কাজী মাহবুব সাহেব, জানায় নামধারী কাজী মাওলানা সৈয়ব এর কোন লাইসেন্স নেই বা, বিবাহ রেজিঃ”র কোন বৈধ কাগজ নেই । সে পেশি শক্তির বলে ভূয়া কাগজ ও সীল তৈরি করে দীর্ঘ বছর যাবৎ জালিয়াতি করে আসছে। সৈয়ব এর মত ভন্ডদের জন্য পেশাগত কাজীদের সুনাম ক্ষুন্নসহ শত শত নারী পুরুষের সংসার বিছিন্ন ও করুন পরিনতি খবর মিলছে অহরহ। দুই বছর আগেও টাংগাইলের একজন নারীর কাছে সুবিধা ভোগ করে এক লাখ টাকার দেনমহর দশ লাখ টাকা করায় ঐ নারীর স্বামী তার বিরুদ্ধে বিচার চেয়েও বিচার পায়নি। সাধারন মানুষকে ভুলভাল বুঝিয়ে কোর্ট ম্যারেজ এর কথা বলে প্রতারণার বিবাহ সম্পন্ন করার রেকড রয়েছে শত শত।
স্টাফ রিপোর্টারঃ

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর