সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন

প্রায়ই আমাদের জীবনে হতাশার ছায়া নেমে আসে, আমরা এলোমেলো হয়ে যাই। এরকম ভয়ংকর সময়গুলোতে যে কাজটি আমাকে সবসময় প্রশান্তি দিয়েছে, চলুন আজ তা আপনাদের সাথে শেয়ার করি

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩
  • ৫৪ বার পঠিত হয়েছে

প্রায়ই আমাদের জীবনে হতাশার ছায়া নেমে আসে, আমরা এলোমেলো হয়ে যাই। এরকম ভয়ংকর সময়গুলোতে যে কাজটি আমাকে সবসময় প্রশান্তি দিয়েছে, চলুন আজ তা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। ????
ভীষণ রকম মন খারাপ?? কিছুই যেন ভালো লাগছে না!! জীবনের সবকিছু এলোমেলো লাগছে? উঠুন! ধীরে ধীরে ওযু করুন।
এরপর সলাতে দাঁড়িয়ে যান। আমি জানি এটা সহজ নয়, ইচ্ছে করবে না মোটেও। জোর করেই দাঁড়িয়ে পড়ুন। ইচ্ছে না করলেও যেভাবে খেতে হয়, ঘুমাতে হয়, প্রয়োজন পূরণ করতে হয় সেভাবেই আত্মার প্রয়োজন পূরণ করুন জোর করেই।
দু’রাকাত সলাত পড়ুন। এই সময় আপনি কিছুই বুঝবেন না, কী পড়লেন কী করলেন কিছুই খেয়াল থাকবে না। মনে হবে যেন শুধু কয়েকবার উঠলেন আর বসলেন। তাতে কী? আবার দু’রাকাত সলাত আদায় করুন। এভাবে কয়েক দফা নিজেকে পুশ করুন।
এরপর???? এরপর দু’হাত তুলুন। সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্ত। আপনার মন খারাপ নিরাময়ের এটাই পিক পয়েন্ট৷ সন্ধিক্ষণ যাকে বলে।
হাত তুলে কী করবেন??? সিম্পল! কথা বলুন। যা ইচ্ছে হয় বলুন। কাঁদুন, প্রশ্ন করুন, আবদার করুন, অনুনয়-বিনয়, অনুরোধ, আকুতি, কাকুতি-মিনতি যা পারেন করুন। দশ মিনিট!! জাস্ট দশ মিনিট চালিয়ে যান আপনার কথোপকথন। এরপর নিজের দিকে খেয়াল করুন, গ্যারান্টি দিতে পারি সেই মন খারাপ আর নেই এখন। এখন আপনার দেহ-মন অনেকটাই হালকা এবং প্রশান্ত। বুকের উপর চাপা পাথরটা এখন আর নেই।
এখানে আসলে কী ঘটল??? স্বভাবতই আমরা খারাপ সময়ে একটা সাপোর্ট খুঁজি। মন খারাপে মনের হাজার কথা খুলে বলার একটা জায়গা খুঁজি। আর এখানে আপনি যেটা করলেন তা হলো, দোজাহানের রব আপনার সেই মন খারাপের মালিক এবং তা নিরাময়ের মালিকের সাথে একটা মিটিং করলেন। মন খারাপ মিটিয়ে দেয়ার আবদার করে ক্ষান্ত হলেন। মনের সকল জমে থাকা ভার যখন নেমে গেলো তখন আপনি এক প্রশান্ত আত্মা। আর এটা হবার জন্য প্রথম পদক্ষেপটা আপনাকেই নিতে হবে। প্রথমে নিজের ওপর একটু জোর করতে হবে। মন চাইবে বালিশ ধরে পড়ে থাকতে, তবুও উঠে দাঁড়াতে হবে।
আমরা সাধারণত আমাদেরকে নিঃস্বার্থভাবে সময় দেয়ার মানুষ খুঁজে বেড়াই। না পেলে হতাশ হই। আমরা ভুলে যাই এমন মানুষ এই জগতে খুব কম। নেই বললেই চলে। সবারই নিজের একটা জগৎ আছে, নিজস্ব সমস্যা আছে। আর প্রত্যেকেই সেসব নিয়ে মারাত্মক ব্যস্ত!! আপনার জন্য অফুরন্ত সময় কারো হাতে নেই। এটাই বাস্তবতা। এমনকি আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষটাও আপনাকে পুরোপুরি বোঝার ক্ষমতা রাখে না৷ আমরা ভুলে যাই, একজন আছেন যিনি আমাদের সকল কথা শোনার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। সেটাও আবার তাঁর স্বার্থে নয়, আমাদেরই স্বার্থে।
জাগতিক কোনো উৎসে সেই নিঃস্বার্থ ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গেলেও, তা সাময়িক।। একটা সময় পর হারিয়ে যাবে, ফুরিয়ে যাবে। ধরুন আপনি ভীষণ পাগলাটে, একদম ‘কেমন যেন’ ধরনের। নিজেকেই মাঝে মাঝে নিজে সহ্য করতে পারেন না। যাকে ধরেন তাকে একদম জ্বালিয়ে ছাড়েন, কোনো না কোনো ভাবে।
আপনার এরকম অবস্থা খুব কম সময়ই কেউ সহ্য করবে। এবং প্রথম থেকেই তার চেষ্টা থাকবে আপনাকে পালটে দেয়ার, শুধরে দেয়ার। নট নেসেস্যারিলি, আপনি বিগড়ে যাওয়া কেউ। আপনার নিতান্ত আবেগকে কারো কাছে বিগড়ানো মনে হতে পারে, কারন সে মনের খবর রাখে না।
সুতরাং, তাঁর দারস্থ হন যিনি আপনার মনের মালিক। আপনি নিজেও যখন নিজের অবস্থা বোঝেন না, ভাল না লাগার কারণ খুঁজে পান না, ব্যথাগুলো বর্ণনা করার শব্দ হারিয়ে ফেলেন, তখন যিনি আপনাকে নিখুঁতভাবে বোঝেন- সেই সুমহান রবের দ্বারস্থ হয়ে যান, আপনার পৃথিবী সুন্দর হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। ????

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর