মাহমুদুন্নবী, পত্নীতলা ( নওগাঁ ) প্রতিনিধি: শিক্ষকদের ক্লাস গ্রহণে উদাসীনতা, পাশাপাশি তাদের উপযুক্ত তদারকির অভাবে দিন দিন কমে যাচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির শিক্ষার্থী সংখ্যা। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য ঝঁুকছেন কিন্ডার গার্ডেন স্কুলগুলোর দিকে। শিক্ষাবিদ ও সূধিসমাজরা বলছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেয়ে হাজারগুনে বেশি ভালো লেখাপড়া হয় কেজি স্কুলগুলোতে। সরকার শতভাগ শিক্ষাবৃত্তি দেবার পরেও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া যায় না। অপরদিকে কেজি স্কুলগুলোতে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সন্তানদের লেখাপড়া করার অভিভাবকরা।
তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির এমন অধপতনের জন্য শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির পাশাপাশি শিক্ষা কর্মকর্তাদেরও দায়ি করছেন শিক্ষাবিদ, সূধি সমাজ ও এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নওগাঁর পত্নীতলার আড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক এক করে তিনটি ভবন আছে, শ্রেণী কক্ষ আছে, শিক্ষকও আছে কিন্তু ক্লাস করার মতো তেমন কোন শিক্ষার্থী নেই। ৭ থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী আছে যারা নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় খেলাধুলা করছে। অপরদিকে বাঁকি দুটি ভবনে শিক্ষার্থীও অভাবে গুডাউন করে তালা ঝঁুলানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের এমন অবস্থার কথা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো: জাহাঙ্গির কবীর বলেন, পাশাপাশি তিনটি প্রতিষ্ঠান থাকার কারণে শিক্ষার্থী সংখ্যা কম। তবে বাঁকি দুটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান ভালো হবার কারণে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি। যদি বলি পাশের স্কুল কান্তাকিসমত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমাদের চেয়ে সেখানে শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক কম। এসব বিষয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানেন।
অপরদিকে প্রাইভেট না পরায় শিক্ষার্থীদের কম নাম্বার দেবার অভিযোগ উঠেছে পত্নীতলার চকনিরখিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার মৌসুমি আক্তারের বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে একাধিক অভিভাবক বলেন, মৌসুমি ম্যাডামের কাছে সন্তানদের প্রাইভেট দেইনি যার ফলে পরিক্ষার খাতায় নাম্বার কম দিয়েছে। আর যারা তার কাছে প্রাইভেট পড়ে তাদের তিনি সব সময়ের জন্য নাম্বার বেশি দেন।
এসব বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ( এটিও ) জয়নুল আবেদীন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সর্বনিন্ম ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। যদি শিক্ষার্থী ৫০ জনের কম হয় সেক্ষেত্রে তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।
মাহমুদুন্নবী
পত্নীতলা ( নওগাঁ ) প্রতিনিধি:
মোবাইল নাম্বার: ০১৫৮০—৭৬১৮৯৪.