সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ অপরাহ্ন

মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভুমিকা আদেশক্রমে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, আমতলী

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ২২ মে, ২০২৩
  • ৫৬ বার পঠিত হয়েছে

 

বরগুনা (তালতলী) প্রতিনিধিঃ নাঈম মৃধা
অভিভাবকের নজরদারি ও জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। সরকার ও প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সামাজিক প্রতিরোধ। মাদক মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
কালের কণ্ঠ’র পাঠকদের মতামত এখানে তুলে ধরা হলো

অভিভাবকদের উচিত সন্তানের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা। মাদকের ভয়ংকর ছোবল থেকে তাদের বাঁচানো। সন্তানরা কার সঙ্গে মেলামেশা করে নজরে রাখতে হবে, তাদের সৎসঙ্গ বেছে নিতে এবং অসৎসঙ্গ ত্যাগ করতে বলতে হবে। মাদকদ্রব্য সম্পর্কে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের স্পষ্ট ধারণা দিয়ে সতর্ক করতে হবে।

স্কুল-কলেজে মাদক নির্মূল কমিটি গঠন করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। ছোটবেলা থেকেই ছেলে-মেয়েদের ধর্মীয় বিধিবিধান পালনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মাদকাসক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। মাদক নির্মূলে যুবসমাজকে ভূমিকা পালন করতে হবে।

মাদকের বিস্তার দেশ-জাতিকে কলুষিত করছে। মাদকের বিস্তারে রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া আছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও ভূমিকা রয়েছে। সরকারকে সামাজিক সচেতনতা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে।
মাদকের বিস্তার রোধে রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার ও ব্যক্তিপর্যায়ে সবাইকে ভূমিকা পালন করতে হবে। সুস্থ চিন্তার মানুষ কৌতূহল থেকে মাদকে জড়ায় বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে। পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নানা রকম অস্থিরতায় মানুষের মনে অসুস্থ চিন্তা, হতাশা জাগে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর ও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে সৃজনশীল কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে।

মাদকের সরবরাহ বন্ধ করতে সীমান্তে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কায়েম করা, মাদক কারবারিদের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য সব প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে।

সমাজের প্রতিটি স্তরে মাদকের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। মাদক থেকে আমাদের যুবসমাজকে রক্ষা করতে হবে। মাদকের বিস্তার রোধে প্রশাসনকে তৎপর হতে হবে। সন্তানদের প্রতি অভিভাবকদের দৃষ্টি রাখতে হবে।

মাদক জীবন ও সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দেয়। শান্তির পরিবারে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সমাজে অনাচার ও অস্থিরতা সৃষ্টি করে। দেশে আশঙ্কাজনক হারে মাদকের বিস্তার ঘটছে। মাদক থেকে মুক্তি পেতে গোড়া থেকে সংস্কার শুরু করতে হবে। দেশে বেশির ভাগ মাদকদ্রব্য আসে সীমান্তপথে। তাই সীমান্তপথে মাদক চোরাচালান বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মাদক কারবারে জড়িত সবাইকে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
মাদকের বিস্তার রোধে প্রশাসনকে সহায়তা করতে হবে। সমাজকে সচেতন করতে হবে। কিশোর-তরুণদের কাছে এসবের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে তাদের সাবধান করতে হবে। আইনের প্রয়োগ ঠিকমতো হচ্ছে না, কাজটি ঠিকমতো করতে হবে।

সীমান্তে কড়া নজর রাখতে হবে। সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ বাড়াতে হবে। মাদক মামলার বিচার দ্রুত করতে হবে। পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে।
মাদকের সোর্স কোথায় খুঁজে বের করতে হবে এবং সেগুলো বন্ধ করতে হবে। দল-মত বিবেচনা না করে জড়িতদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে।
পরিবারের ভালোবাসা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের পাশাপাশি নেশামুক্ত, সৎ, চরিত্রবান সন্তান গঠনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দিকে সব অভিভাবককে তীক্ষ নজর রাখতে হবে। কোমলমতি একটি শিশুর নেশাদ্রব্যের হাতেখড়ি সিগারেট দিয়ে। প্রকাশ্যে ধূমপানে জরিমানার বিধান থাকলেও ধূমপান প্রকাশ্যেই হচ্ছে। মাদকের বিস্তার ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এর সহজলভ্যতা এর জন্য বেশি দায়ী। মাদকের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান প্রয়োজন। মাদক আসার রুটগুলো বন্ধ হয়নি, রুট বন্ধ করাসহ বড় মাপের প্রভাবশালী মাদক কারবারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। স্থানীয়ভাবে মাদক কারবারিদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। মাদক গ্রহীতাদের জন্য আরো বেশি সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয়ভাবে প্রশাসন ও প্রভাবশালী মহলকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। প্রশাসনের বিশেষ সহযোগিতা নিতে হবে। কার্যকর পদক্ষেপে সুফল পাওয়ার পর তা যেন বন্ধ না হয়। মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতার ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে কার্যকর পদক্ষেপ নিন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ এবং সমাজকে সুপথে এগিয়ে আনার দায়িত্ব সরকারের। সরকারকে মাদকের বিরুদ্ধে জোর প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। পাড়া-মহল্লায় কমিটি গঠন করলে, মসজিদ-মন্দিরে নামাজ-প্রার্থনা শেষে জনগণকে সচেতন ও তাদের সহযোগিতা চাইলে মাদক নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। সংসদে বিস্তারিত চুলচেরা আলোচনান্তে সিদ্ধান্ত নিয়ে এগোতে হবে। সরকার শক্তভাবে চাইলে মাদক সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে পারে। প্রয়োজন অভিযান ও সদিচ্ছা। যানবাহন চালকরা মাদক বাহক ও মাদক আনা-নেওয়ার সহায়ক বিশ্বস্ত মাধ্যম। সরকারি প্রশাসনযন্ত্র ও সরকারের রাজনৈতিক মাঠকর্মীদের আন্ত
আদেশক্রমে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর